নয়ন তারা

নয়নতারা ফুল বাংলাদেশ, ভারত, আফ্রিকা মহাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এর দেখা পাওয়া যায়। আদি নিবাস মাদাগাস্কার তবে এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বাংলা নাম নয়ন তারা। সংস্কৃত নামও তাই। একে কেউ কেউ পয়সা ফুল আবার অনেকে একে বিস্কুট ফুলও বলে থাকেন।

বৈজ্ঞানিক নাম: Catharanthus roseus

এটি Apocynaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ।তবে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামেও পরিচিত, যেমন Cape periwinkle, Madagascar periwinkle, periwinkle, sadabahar, sadaphuli, sadasuhagi, sadsuhagan ইত্যাদি।

নয়নতারা ফুল লালচে গোলাপি পাঁচ পাপড়ির জন্য বিখ্যাত।

নয়নতারা উদ্ভিদটি বহু বর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ। কাণ্ড: গাছ লম্বা দেড় থেকে ৬০ থেকে ৭০ সে.মি.। কান্ড নরম,রসালো ও গাঢ় সবুজ। ডাল পালা এপাশ ও পাশ ছড়ানো। সহজে চারপাশে চড়িয়ে যায়।

ফুল একরঙা হলেও ফুলের মধ্যবিন্দুটি অন্য রংয়েরও হয়। যেমন সাদার মাঝে লাল,গোলাপীর মাঝে হলুদ।ফুলটি গন্ধহীন।পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল। ফুলের মাপ ৩-৩.৫ সেমি চওড়া, দলনল সরু, ২.৫ সেমি লম্বা, ৫ পাপড়ির মাঝখানে একটি গাঢ় রঙের ফোঁটা।যেকোন ফুল বা ফলের বাগানে এমনকি বাসার ছাদে বা বারান্দায়ও লাগানো যায়।

ফুল সারা বছরই ফোটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি বেশি ফোটে।ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়। বীজ: বীজ কালো ও অমসৃণ। কালো রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে। খুবই সহজেই নয়নতারার চাষ করা যায়।

উপকারীতা:ভিনক্রিস্টিন , ভিনব্লাস্টিন লিউকেমিয়া,উচ্চ রক্তচাপ্ ইত্যাদি রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।